জাহাঙ্গীর হোসেন, শেরপুর প্রতিনিধি : শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের একটি অনুষ্ঠানে সংবাদ সংগ্রহে আসা সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় উপজেলার নয়াবিল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান ও তাঁর ভাই নূরে আলমসহ ১৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৩০-৪০ জনকে আসামী করে মামলা হয়েছে।
হামলায় আহত বাসস ও এখন টিভির জেলা প্রতিনিধি মো. জাহিদুল খান বাদী হয়ে আইন শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) আইনে ২৭ মে মঙলবার রাতে নালিতাবাড়ী থানায় মামলাটি দায়ের করেন। পরে রাতেই অভিযান চালিয়ে পুলিশ ২ জন আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যাক্তিরা হলেন, উপজেলার দাওধারা এলাকার আবদুল মালেকের ছেলে ইসমাইল হোসেন (৪৪) ও কাটাবাড়ী এলাকার বিল্লাল হোসেনের ছেলে হাসেম আলী (৩৫)।
উল্লেখ্য, ২৬ মে সোমবার উপজেলার দাওধারা–কাটাবাড়ি এলাকায় প্রস্তাবিত পর্যটনকেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। সেখানে সাংবাদিকরা ওই এলাকায় অবৈধভাবে বালু ও পাথর উত্তোলন এবং বনের মধ্যে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার বিষয়ে উপদেষ্টার অবস্থান জানতে চান।
তখন বিষয়টি নিয়ে সেখানে উপস্থিত কিছু ব্যাক্তি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। পরে উপদেষ্টা স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি শান্ত করে গাড়িবহর নিয়ে এগিয়ে যান। ওইসময় সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালানো হয়। হামলাকারীরা সাংবাদিকদের ধাওয়া দিয়ে ঘিরে ফেলে এবং তাদেরকে কিলঘুষি মারতে থাকেন। হামলায় সাংবাদিক জাহিদুল খান সৌরভ ছাড়াও বাংলা টিভি'র নাঈম ইসলাম, সময় টিভি'র ক্যামেরাপারসন বাবু চক্রবর্তী, বাংলাদেশ খবরের শাহরিয়া শাকির আহত হন।
এদিকে, ২৭ মে মঙ্গলবার বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ময়মনসিংহ রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি আবু বক্কর সিদ্দিক।
ওইসময় তিনি বলেন, সাংবাদিকদের ওপর হামলার বিষয়টি পুলিশ অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে৷ এজন্যই আমরা সরেজমিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলাম। এবিষয়ে যা যা আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া দরকার তা গ্রহণ করা হবে৷
মামলা ও গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা জানান, ২৭ মে মঙলবার রাতে মামলা দায়ের হওয়ার পর মধ্যরাতে অভিযান চালিয়ে এজাহারনামীয় ২ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ ২৮ মে বুধবার দুপুরে তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে ৷ অন্যান্য আসামীদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে৷